স্বদেশ ডেস্ক: অবশেষে স্বস্তি। জিম্বাবোয়ে জাতীয় দলের উপর থেকে নিবার্সন তুলে নিল আইসিসি। সম্প্রতি দুবাইয়ে আইসিসির বোর্ড মিটিংয়ে জিম্বাবোয়েকে ফের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেয় বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। দুবাইয়ের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জিম্বাবোয়ে ক্রিকেটের চেয়ারম্যান তাভেঙ্গা মুকুলানি এবং কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কীর্স্টি কভেন্ট্রি। আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর বলেন, জিম্বাবোয়ে ক্রিকেটের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের জন্য মরিয়া চেষ্টা করছেন কীর্স্টি। তাঁর সঙ্গে কথা বলার পরই নির্বাসন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে জিম্বাবোয়েকে অর্থ দেওয়ার বিষয়টি বিশেষ নিয়ন্ত্রণে রাখবে আইসিসি। নির্বাসন উঠে যাওয়ায় আগামী বছর জানুয়ারিতে অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ এবং আইসিসির সুপার লিগে অংশ নিতে পারবে জিম্বাবোয়ে। তবে ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা হবে না সিনিয়র দলের।
চলতি বছর ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে বিশ্বকাপ চলাকালীনই দুঃসংবাদটি পেয়েছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। জিম্বাবোয়ে ক্রিকেট বোর্ডকে নির্বাসিত করেছিল সে দেশের সরকারি সংস্থা স্পোর্টপ অ্যান্ড রিক্রিয়েশন কমিশনের (এসআরসি)। তাদের তরফে বোর্ডের পাশাপাশি বোর্ডের কার্যকরী ম্যানেজিং ডিরেক্টর গিভমোর মাকোনিকেও পদ থেকে নির্বাসিত করা হয়। দেশের ক্রিকেট যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তার জন্য একটি অন্তর্র্বতী কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির সদস্যদের কাঁধেই সমস্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আসলে স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন কমিশন জিম্বাবোয়ে ক্রিকেট বোর্ডের কার্যকলাপ খুঁটিয়ে দেখার দায়িত্ব নিয়েছিল। আর তদন্তে নেমেই তারা জানতে পারে, একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে বোর্ড। বার্ষিক সাধারণ বৈঠকে মনোনয়নের প্রক্রিয়ায় যেমন দুর্নীতি ধরা পড়েছে, তেমনই বেশ কিছু সাংবিধানিক নিয়মও ভঙ্গ করেছে তারা। শুধু তাই নয়, আর্থিক তছরুপ, পক্ষপাতিত্ব-সহ অনেক দুর্নীতিতেই জড়িয়েছে বোর্ড। কমিশন সতর্ক করা সত্ত্বেও বোর্ড তাতে কর্ণপাত করেনি। তারই মধ্যে ফের তাভেঙ্গা মুকুলানিকে চার বছরের জন্য নির্বাচিত করা হয়। আর তারপরই নেওয়া হয় এই সিদ্ধান্ত। এসআরসি আইন মেনেই বোর্ডকে নির্বাসিত করা হয়েছিল। এবার নির্বাসন উঠে যাওয়ায় নতুন করে আশার আলো দেখছেন ক্রিকেটাররা।